পরিবর্তক ও পরিপূরক দ্রব্য




একটা দ্রব্য ব্যবহার করতে গিয়ে যখন তার পরিবর্তে অন্যদ্রব্য ও ব্যবহার করা যায় অথবা সহজ ভাবে বলতে গেলে প্রায় সমজাতীয় দ্রব্য যার অপরটি দিয়েও একটির চাহিদা মেটানো সম্ভব, সেই দ্রব্য দুইটিকে একে অপরের পরিবর্তক দ্রব্য বলে।


পরিবর্তক দ্রব্য : ধরুন আপনি   দোকানে গেলেন সেখানে আপনি যথাক্রমে পেপারটেক ও বসুন্ধরা কোম্পানির কাগজ দেখতে পেলেন। বসুন্ধরা পেপার ২৫০ টাকা যেটা একটু নরমাল আর পেপারটেক ৩০০ টাকা যা তুলনামূলক ভালো। এখন কোনো কারনে বসুন্ধরার দাম বেড়ে ২৮০ টাকায় গিয়ে দাড়াল এবং আপনি সেটা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন যে সামান্য ২০ টাকার জন্যে কেন খারাপ নিবো,ভালোটাই নেই গুনে মানে সেরা হবে।


হ্যা এখানেই লুকিয়ে আছে পরিবর্তক দ্রব্য। আপনি বসুন্ধরার পরিবর্তে পেপারটেক নিলেন এটাই পরিবর্তক দ্রব্য। এক্ষেত্রে একটি পন্যের দাম বেড়ে গেলে অপর পন্যের চাহিদা সয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যায়।



পরিপূরক দ্রব্য : একইভাবে একটা দ্রব্য ব্যবহার করতে যখন আরেকটি দ্রব্যের প্রয়োজন হয়,সেই দ্রব্য দুইটিকে একে অপরের পরিপূরক দ্রব্য বলে।


পরিপূরক দ্রব্যের উদাহরণ  : আপনার বাসায় এসি আছে বাট বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, এসি কি চলবে? কিংবা,আপনার একটা ডিভিডি ডিস্ক আছে কিন্তু ডিভিডি প্লেয়ার নেই।  চলবে? চা আছে কিন্তু চিনি নেই খেতে পারবেন? তাই একটা দ্রব্য ব্যবহার করতে যখন আরেকটি দ্রব্যের প্রয়োজন হয়,দ্রব্য দুটি একে অপরের পরিপূরক দ্রব্য হয়।

এবার চলে যাবো ভার্সিটির সামনের পান্না মামার চায়ের দোকানে।

পান্না মামাকে এক বিকালে গিয়ে বললাম মামা একটা চা দাও

মামা চা, গরম পানি আর চিনি দিয়ে মিক্স করে পরিবেশন টা করে দিলো। এখান থেকেই আমার মাথায় এমন উদ্ভট প্রশ্ন আসতে লাগলো যে মামা তো চা বিক্রি করে ৫ টাকায়। যদি চিনির দাম বেড়ে যায় তাহলে মামা চায়ের দাম ও বাড়ায় দিবে। হ্যা এই জায়গাতেই আসল ব্যাপারটা, একটি পন্যের দাম বেড়ে গেলে যদি অপর পন্যের দাম ও বেড়ে যায় তাহলে সেই পন্য ২ টি কে আমরা বলছি পরিপূরক পন্য/দ্রব্য। তাই আমরা একটি দ্রব্যের দাম বাড়ায় অন্য দ্রব্যের চাহিদা কমে যাবে।যেমন চিনির দাম বেড়ে গেলে চা এর চাহিদা কমবে।

সৌরভ হোসেন

অর্থনীতি বিভাগ (২য় বর্ষ)

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,পাবনা।



No comments

Powered by Blogger.